Saturday, April 15, 2017

ইউটিউব থেকে আয় করুন অ্যাডসেন্স দিয়ে

এটাই ইউটিউব থেকে আয় করার সবথেকে জনপ্রিয় এবং বড় মাধ্যম। আমরা সকলেই জানি যে ইউটিউব হচ্ছে গুগল এর একটি সেবা। আবার গুগল অ্যাডসেন্সও গুগলের। তাই ইউটিউব এর ব্যাপারে গুগলের প্রাধান্য অনেক। এমনকি আপনি মাত্র কয়েকটা ছোট ছোট ভিডিও দিয়েই একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এপ্রুভ করাতে পারবেন। আর সবথেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়ার জন্য ইউটিউব হচ্ছে অন্যতম সহজ একটি পদ্ধতি। সেরা আর্নাররা শুধুমাত্র ইউটিউব অ্যাডসেন্স ব্যাবহার করে মাসে কয়েক লক্ষ ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকে! একটি কথা অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে অবশ্যই আপনাকে ইউটিউব চ্যানেলটি গুগল এ্যাডসেন্সের সাথে লিংঙ্ক করতে হবে।


Thursday, April 13, 2017

ইউটিউব মার্কেটিং কেন করবেন?

অনলাইন মার্কেটিং করার অনেক উপায় আছে। তার মধ্যে ইউটিউব মার্কেটিং বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর এত জনপ্রিয়তার অনেকগুলো কারন আছে।

প্রথমত, ইউটিউব মার্কেটিং করলে খুব দ্রুত ট্রাফিক পাওয়া যায়। যেটা একটা ওয়েবসাইটের জন্য অনেক সময়ের ব্যাপার।আবার একটা সাইটের জন্য আপনি প্রথমেই হোস্টিং আর ডোমেইন এর জন্য টাকা খরচ করতে হবে যেটা নতুনদের জন্য অনিহার কারন। ইউটিউব এ আপনাকে কোন টাকা খরচ করতে হবে না।


আর সবচেয়ে বড় যেই কারনে ইউটিউব মার্কেটিং ইদানিং বেশি জনপ্রিয় তা হচ্ছে এসইও রেঙ্কিং এর বিভিন্ন আপডেটের কারনে যারা রিভিও সাইট দিয়ে মার্কেটিং করে থাকেন তাদের রেঙ্কিং প্রতিনিয়ত ড্রপ করছে কিন্তু ইউটিউব এই প্রভাব থেকে মুক্ত।আবার, যারা এমন কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করার জন্য সিদ্ধান্ত নেন যেটার ডিজাইন বা ব্যাবহারবিধি নিয়ে তারা চিন্তিত তখন তারা সেই পণ্যটি দেখতে কেমন বা এটি কিভাবে ব্যবহার করবে তা জানার জন্য ইউটিউবে প্রবেশ করে আর তাই উন্নত বিশ্বে ইউটিউবে ঢু মারা মানুষের বড় অংশ এর পরেই কিছু না কিছু ক্রয় করে থাকেন। যার কারনে ইউটিউব হচ্ছে ক্রেতাদের ঘাটি।

১০ উপায়ে বাড়িয়ে নিন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিউ এবং সাবস্ক্রাইব

  • আপনার এবং আপনার চ্যানেলের পরিচিতি প্রদান করে একটা মনোমুগ্ধকর চ্যানেল ট্রেইলার তৈরি করুন যা কেউ আপনার চ্যানেলের হোমে আসলে অটো-প্লে হবে। আপনার ভিডিও নিসে আপনাকে অথোরিটি দিতে এটি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। 


  • ভিডিও এর শেষে একটা বড় এনোটেশনে শক্ত কল-টু-একশন প্রদান করুন।


  • ট্রেন্ডিং ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি কিছু ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করুন যেগুলো কখনো পুরনো হবে না। ট্রেন্ডিং ভিডিও দ্রুত কিছু কিছু ভিউ পাওয়ার জন্য কাজ করে, কিন্তু আপনার চ্যানেলকে স্মরণযোগ্যও রাখতে হবে। এতে আপনার চ্যানেলের আয় হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কোন চান্স নেই। আর এটা গুগল রেঙ্কিংয়েও সহায়তা করে।


  • আপনার ব্লগেও সাবস্ক্রাইভ বাটন দিন। সেটা এম্বেডেড ভিডিও এর পাশে হলে আরও ভালো হয়।
  • কিছু ক্ষেত্রে মানুষ শুধুমাত্র লং-টেইল কীওয়ার্ড দিয়েই সার্চ করে থাকে। তাই এধরনের কিছু নিয়ে ভিডিও বানালে লং-টেইল ডেসক্রিপশন ব্যাবহার করবেন। এতে এমন কিছু ভিউ পাবেন যারা এই ব্যাপারে ব্যাপক আগ্রহী।
  • আপনার সাইটে বা ব্লগে একটা ইউটিউব উইজেড ব্যাবহার করতে পারেন। Tint এধরনের কাজের জন্য অনেক ভালো একটা টুল।
  • আপনার ভিউয়ারদের লাইক করতে বলুন। কারন ভিডিওতে লাইক ইউটিউবকে ইনফর্ম করে যে আপনার ভিডিও পপুলার, তখন ইউটিউব সার্চ এ এটি প্রাধন্য পায়।
  • আপনার ভিডিওতে দেওয়া কমেন্ট সবসময় চেক করুন এবং উত্তর দিন। এতে যেমন আপনার ভিউয়ার সাবস্ক্রাইবাররা বুজবে আপনি তাদের প্রতি আন্তরিক তেমনি ইউটিউব ও বুজবে যে আপনি আপনার ভিউয়ারদের প্রাধন্য দেন।
  • অন্য ইউটিউবার এর সাথে কাজ করে দুজনেই দুজনের চ্যানেল প্রমোট করুন। আবার দুইজন একসাথে কিছু কো-ব্রেন্ডেড ভিডিও তৈরি করুন।
  • Creator Dashbaord এবং Analytics থেকে সবচেয়ে একটিভ ফানজ খুজে বের করুন এবং তার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করুন। এবং তাদেরকে তাদের কমিনিটিতে ভিডিও শেয়ার করতে বলুন।